এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না মাশরাফিরমাশরাফি বিন মর্তুজা -আমি জানি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা আছেন, সবার মন খুব খারাপ। আমাদের সব সমর্থক কাল কষ্ট পেয়েছে খুব। তাহলে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা ভাবুন। আমাদের মন যে কত খারাপ, বলে বোঝানোর মতো না। ভারতের মাটিতে, ভারতের বিপক্ষে, ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে জেতাটা হতো দারুণ অর্জন। সেটি তো হয়েই গিয়েছিল প্রায়! ম্যাচটি যদি ৭-৮ রানে হারতাম অথবা শেষদিকে এত কাছাকাছি না যেতাম, তাহলে হয়তো এত কষ্ট লাগত না। প্রশ্ন : কান্নাকাটি হয়েছে ড্রেসিংরুমে? মাশরাফি : নাহ, কেউ কান্নাকাটি করেনি। তবে আমাদের চেহারা দেখে নিশ্চয়ই বুঝেছেন মনের ভেতরটা কেমন করছিল। প্রশ্ন : ওই অবস্থায় ক্রিজে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদ উল্লাহ থাকায় জেতার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল নিশ্চয়ই? মাশরাফি : তা তো অবশ্যই। অনেক দিন ধরে ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আর কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয়, তাও জানে। খুব ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটসম্যান ওরা। কালও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে; দুর্ভাগ্য যে পারেনি। ম্যাচ হারের জন্য আমি কখনো কাউকে এককভাবে দোষারোপ করি না। মুশফিক আর রিয়াদ (মাহমুদ) পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। কিন্তু আমি কখনোই ওদের দোষ দেব না। দলকে জেতাতে পারেনি বলে ওদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। শেষ তিন বলে তিনজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল স্ট্রাইকে। কোনো টেলএন্ডার না। সেখানে কিনা একটি রানও হলো না! খেলা শেষ হওয়ার পর আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারিনি, এটি কী হলো! প্রশ্ন : ‘টাই’ করার কথাও কি ভাবা যেত তখন? মাশরাফি : অবশ্যই ভাবা যেত। ১ রানে ম্যাচ হারলে অমন ছোটখাটো অনেক জিনিস মনে হয়। মনে হয়, ইস্্, যদি ডাইভ দিয়ে ফিল্ডিং করে এক রান ঠেকাতে পারতাম। কিংবা শটটি একটু ওদিক-ওদিক দিয়ে মারলে তো চার হয়ে যেত। আসলে মুশফিক দুটো চার মারার পর সবাই ভেবেছি জয় নিশ্চিত। কিন্তু আগে তো ওদের সমান স্কোর করতে হবে! তারপর জয়। শেষ তিন বলে অন্তত ১ রান তো আমরা করতে পারতাম। তাহলে কী হতো? সুপার ওভার। সেখানে আমাদের মুস্তাফিজ রয়েছে। সুপার ওভার ব্যাটিংয়ে আমরা ৮-৯ রান নিতে পারলেও সুযোগ ছিল। সেখানে জয়-হার পরের ব্যাপার। কিন্তু এখন ১ রানে হেরে যে কষ্ট পাচ্ছি, তা তো পেতাম না। প্রশ্ন : পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলে ওই শেষ সময়ে হেরে যাওয়ার কষ্টটা নিশ্চয়ই আরো বেশি? মাশরাফি : টি-টোয়েন্টি দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে ২৪০ বলের খেলা তো! ভারতের বিপক্ষে সেই ২৪০ বলের মধ্যে আমরা ২৩৭ বলে জিতেছি; ভারত জিতেছে মাত্র তিন বলে। ওই যে ৩ বলে হারলাম, তাতেই ম্যাচটি হেরে যাই। শেষ ৩ বলে আমরা ৩ উইকেট হারালাম, একটা রানও নিতে পারলাম না—এটি বিশ্বাস করার মতো কথা! প্রশ্ন : তাসকিন আহমেদ বিতর্কের কারণে এ ম্যাচ জিতলে পারলে সেটি নিশ্চয়ই অন্য রকম মাত্রা পেত? মাশরাফি : আমি আর সেদিকে যাব না। তবে সবাই তো জানে, দল খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিল। মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় চাপে ছিলাম আমরা। কিন্তু অমন অবস্থায়ও এভাবে পারফর্ম করা সহজ ব্যাপার নয়। শুধু ওই শেষ তিন বল... প্রশ্ন : ভারতের মাঠে ওদের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করার কথা বলছিলেন... মাশরাফি : আমরা তো বেশির ভাগ সময় খেলি নিজেদের দর্শকদের সামনে। সেটি অনেক সোজা। তুলনায় ভারতের মাটিতে ভারতের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলা খুব কঠিন। সেখানে আমাদের ছেলেরা নার্ভাস হয়নি। গ্যালারিতে ওদের পক্ষে স্লোগান উঠেছে। কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়ে গেছি। এটি অবশ্যই বড় প্রাপ্তি। প্রশ্ন : এমন এক হারের ধাক্কা সামলে দলকে পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করা কত কঠিন? মাশরাফি : কঠিন তো অবশ্যই। কিন্তু এটিই খেলার নিয়ম। জিতুন বা হারুন, পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হয়। আমরা এমন একটা গ্রুপে পড়েছি, সবাই এসেছে চ্যাম্পিয়ন হতে। তুলনামূলক দুর্বল হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। ওরা ভারত-অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সবাইকে হারিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠে আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, কত কঠিন গ্রুপ আমাদের! এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে চাই আমরা। - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/03/25/339988#sthash.YWN9MuzZ.dpufমাশরাফি বিন মর্তুজা : কী আর বলব ভাই! আমি জানি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা আছেন, সবার মন খুব খারাপ। আমাদের সব সমর্থক কাল কষ্ট পেয়েছে খুব। তাহলে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা ভাবুন। আমাদের মন যে কত খারাপ, বলে বোঝানোর মতো না। ভারতের মাটিতে, ভারতের বিপক্ষে, ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে জেতাটা হতো দারুণ অর্জন। সেটি তো হয়েই গিয়েছিল প্রায়! ম্যাচটি যদি ৭-৮ রানে হারতাম অথবা শেষদিকে এত কাছাকাছি না যেতাম, তাহলে হয়তো এত কষ্ট লাগত না। প্রশ্ন : কান্নাকাটি হয়েছে ড্রেসিংরুমে? মাশরাফি : নাহ, কেউ কান্নাকাটি করেনি। তবে আমাদের চেহারা দেখে নিশ্চয়ই বুঝেছেন মনের ভেতরটা কেমন করছিল। প্রশ্ন : ওই অবস্থায় ক্রিজে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদ উল্লাহ থাকায় জেতার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল নিশ্চয়ই? মাশরাফি : তা তো অবশ্যই। অনেক দিন ধরে ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আর কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয়, তাও জানে। খুব ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটসম্যান ওরা। কালও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে; দুর্ভাগ্য যে পারেনি। ম্যাচ হারের জন্য আমি কখনো কাউকে এককভাবে দোষারোপ করি না। মুশফিক আর রিয়াদ (মাহমুদ) পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। কিন্তু আমি কখনোই ওদের দোষ দেব না। দলকে জেতাতে পারেনি বলে ওদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। শেষ তিন বলে তিনজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল স্ট্রাইকে। কোনো টেলএন্ডার না। সেখানে কিনা একটি রানও হলো না! খেলা শেষ হওয়ার পর আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারিনি, এটি কী হলো! প্রশ্ন : ‘টাই’ করার কথাও কি ভাবা যেত তখন? মাশরাফি : অবশ্যই ভাবা যেত। ১ রানে ম্যাচ হারলে অমন ছোটখাটো অনেক জিনিস মনে হয়। মনে হয়, ইস্্, যদি ডাইভ দিয়ে ফিল্ডিং করে এক রান ঠেকাতে পারতাম। কিংবা শটটি একটু ওদিক-ওদিক দিয়ে মারলে তো চার হয়ে যেত। আসলে মুশফিক দুটো চার মারার পর সবাই ভেবেছি জয় নিশ্চিত। কিন্তু আগে তো ওদের সমান স্কোর করতে হবে! তারপর জয়। শেষ তিন বলে অন্তত ১ রান তো আমরা করতে পারতাম। তাহলে কী হতো? সুপার ওভার। সেখানে আমাদের মুস্তাফিজ রয়েছে। সুপার ওভার ব্যাটিংয়ে আমরা ৮-৯ রান নিতে পারলেও সুযোগ ছিল। সেখানে জয়-হার পরের ব্যাপার। কিন্তু এখন ১ রানে হেরে যে কষ্ট পাচ্ছি, তা তো পেতাম না। প্রশ্ন : পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলে ওই শেষ সময়ে হেরে যাওয়ার কষ্টটা নিশ্চয়ই আরো বেশি? মাশরাফি : টি-টোয়েন্টি দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে ২৪০ বলের খেলা তো! ভারতের বিপক্ষে সেই ২৪০ বলের মধ্যে আমরা ২৩৭ বলে জিতেছি; ভারত জিতেছে মাত্র তিন বলে। ওই যে ৩ বলে হারলাম, তাতেই ম্যাচটি হেরে যাই। শেষ ৩ বলে আমরা ৩ উইকেট হারালাম, একটা রানও নিতে পারলাম না—এটি বিশ্বাস করার মতো কথা! প্রশ্ন : তাসকিন আহমেদ বিতর্কের কারণে এ ম্যাচ জিতলে পারলে সেটি নিশ্চয়ই অন্য রকম মাত্রা পেত? মাশরাফি : আমি আর সেদিকে যাব না। তবে সবাই তো জানে, দল খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিল। মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় চাপে ছিলাম আমরা। কিন্তু অমন অবস্থায়ও এভাবে পারফর্ম করা সহজ ব্যাপার নয়। শুধু ওই শেষ তিন বল... প্রশ্ন : ভারতের মাঠে ওদের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করার কথা বলছিলেন... মাশরাফি : আমরা তো বেশির ভাগ সময় খেলি নিজেদের দর্শকদের সামনে। সেটি অনেক সোজা। তুলনায় ভারতের মাটিতে ভারতের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলা খুব কঠিন। সেখানে আমাদের ছেলেরা নার্ভাস হয়নি। গ্যালারিতে ওদের পক্ষে স্লোগান উঠেছে। কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়ে গেছি। এটি অবশ্যই বড় প্রাপ্তি। প্রশ্ন : এমন এক হারের ধাক্কা সামলে দলকে পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করা কত কঠিন? মাশরাফি : কঠিন তো অবশ্যই। কিন্তু এটিই খেলার নিয়ম। জিতুন বা হারুন, পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হয়। আমরা এমন একটা গ্রুপে পড়েছি, সবাই এসেছে চ্যাম্পিয়ন হতে। তুলনামূলক দুর্বল হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। ওরা ভারত-অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সবাইকে হারিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠে আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, কত কঠিন গ্রুপ আমাদের! এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে চাই আমরা। -
মাশরাফি বিন মর্তুজা : কী
আর বলব ভাই! আমি জানি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা আছেন, সবার মন খুব
খারাপ। আমাদের সব সমর্থক কাল কষ্ট পেয়েছে খুব। তাহলে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা
ভাবুন। আমাদের মন যে কত খারাপ, বলে বোঝানোর মতো না। ভারতের মাটিতে, ভারতের
বিপক্ষে, ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে জেতাটা হতো দারুণ অর্জন। সেটি তো হয়েই
গিয়েছিল প্রায়! ম্যাচটি যদি ৭-৮ রানে হারতাম অথবা শেষদিকে এত কাছাকাছি না
যেতাম, তাহলে হয়তো এত কষ্ট লাগত না।
প্রশ্ন : কান্নাকাটি হয়েছে ড্রেসিংরুমে?
মাশরাফি : নাহ, কেউ কান্নাকাটি করেনি। তবে আমাদের চেহারা দেখে নিশ্চয়ই বুঝেছেন মনের ভেতরটা কেমন করছিল।
প্রশ্ন : ওই অবস্থায় ক্রিজে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদ উল্লাহ থাকায় জেতার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল নিশ্চয়ই?
মাশরাফি : তা তো অবশ্যই। অনেক দিন ধরে ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আর কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয়, তাও জানে। খুব ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটসম্যান ওরা। কালও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে; দুর্ভাগ্য যে পারেনি। ম্যাচ হারের জন্য আমি কখনো কাউকে এককভাবে দোষারোপ করি না। মুশফিক আর রিয়াদ (মাহমুদ) পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। কিন্তু আমি কখনোই ওদের দোষ দেব না। দলকে জেতাতে পারেনি বলে ওদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। শেষ তিন বলে তিনজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল স্ট্রাইকে। কোনো টেলএন্ডার না। সেখানে কিনা একটি রানও হলো না! খেলা শেষ হওয়ার পর আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারিনি, এটি কী হলো!
প্রশ্ন : ‘টাই’ করার কথাও কি ভাবা যেত তখন?
মাশরাফি : অবশ্যই ভাবা যেত। ১ রানে ম্যাচ হারলে অমন ছোটখাটো অনেক জিনিস মনে হয়। মনে হয়, ইস্্, যদি ডাইভ দিয়ে ফিল্ডিং করে এক রান ঠেকাতে পারতাম। কিংবা শটটি একটু ওদিক-ওদিক দিয়ে মারলে তো চার হয়ে যেত। আসলে মুশফিক দুটো চার মারার পর সবাই ভেবেছি জয় নিশ্চিত। কিন্তু আগে তো ওদের সমান স্কোর করতে হবে! তারপর জয়। শেষ তিন বলে অন্তত ১ রান তো আমরা করতে পারতাম। তাহলে কী হতো? সুপার ওভার। সেখানে আমাদের মুস্তাফিজ রয়েছে। সুপার ওভার ব্যাটিংয়ে আমরা ৮-৯ রান নিতে পারলেও সুযোগ ছিল। সেখানে জয়-হার পরের ব্যাপার। কিন্তু এখন ১ রানে হেরে যে কষ্ট পাচ্ছি, তা তো পেতাম না।
প্রশ্ন : পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলে ওই শেষ সময়ে হেরে যাওয়ার কষ্টটা নিশ্চয়ই আরো বেশি?
মাশরাফি : টি-টোয়েন্টি দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে ২৪০ বলের খেলা তো! ভারতের বিপক্ষে সেই ২৪০ বলের মধ্যে আমরা ২৩৭ বলে জিতেছি; ভারত জিতেছে মাত্র তিন বলে। ওই যে ৩ বলে হারলাম, তাতেই ম্যাচটি হেরে যাই। শেষ ৩ বলে আমরা ৩ উইকেট হারালাম, একটা রানও নিতে পারলাম না—এটি বিশ্বাস করার মতো কথা!
প্রশ্ন : তাসকিন আহমেদ বিতর্কের কারণে এ ম্যাচ জিতলে পারলে সেটি নিশ্চয়ই অন্য রকম মাত্রা পেত?
মাশরাফি : আমি আর সেদিকে যাব না। তবে সবাই তো জানে, দল খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিল। মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় চাপে ছিলাম আমরা। কিন্তু অমন অবস্থায়ও এভাবে পারফর্ম করা সহজ ব্যাপার নয়। শুধু ওই শেষ তিন বল...
প্রশ্ন : ভারতের মাঠে ওদের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করার কথা বলছিলেন...
মাশরাফি : আমরা তো বেশির ভাগ সময় খেলি নিজেদের দর্শকদের সামনে। সেটি অনেক সোজা। তুলনায় ভারতের মাটিতে ভারতের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলা খুব কঠিন। সেখানে আমাদের ছেলেরা নার্ভাস হয়নি। গ্যালারিতে ওদের পক্ষে স্লোগান উঠেছে। কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়ে গেছি। এটি অবশ্যই বড় প্রাপ্তি।
প্রশ্ন : এমন এক হারের ধাক্কা সামলে দলকে পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করা কত কঠিন?
মাশরাফি : কঠিন তো অবশ্যই। কিন্তু এটিই খেলার নিয়ম। জিতুন বা হারুন, পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হয়। আমরা এমন একটা গ্রুপে পড়েছি, সবাই এসেছে চ্যাম্পিয়ন হতে। তুলনামূলক দুর্বল হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। ওরা ভারত-অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সবাইকে হারিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠে আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, কত কঠিন গ্রুপ আমাদের! এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে চাই আমরা।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/03/25/339988#sthash.YWN9MuzZ.dpuf
প্রশ্ন : কান্নাকাটি হয়েছে ড্রেসিংরুমে?
মাশরাফি : নাহ, কেউ কান্নাকাটি করেনি। তবে আমাদের চেহারা দেখে নিশ্চয়ই বুঝেছেন মনের ভেতরটা কেমন করছিল।
প্রশ্ন : ওই অবস্থায় ক্রিজে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদ উল্লাহ থাকায় জেতার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল নিশ্চয়ই?
মাশরাফি : তা তো অবশ্যই। অনেক দিন ধরে ওরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। আর কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয়, তাও জানে। খুব ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটসম্যান ওরা। কালও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে; দুর্ভাগ্য যে পারেনি। ম্যাচ হারের জন্য আমি কখনো কাউকে এককভাবে দোষারোপ করি না। মুশফিক আর রিয়াদ (মাহমুদ) পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। কিন্তু আমি কখনোই ওদের দোষ দেব না। দলকে জেতাতে পারেনি বলে ওদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। শেষ তিন বলে তিনজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল স্ট্রাইকে। কোনো টেলএন্ডার না। সেখানে কিনা একটি রানও হলো না! খেলা শেষ হওয়ার পর আমরা কেউ বিশ্বাস করতে পারিনি, এটি কী হলো!
প্রশ্ন : ‘টাই’ করার কথাও কি ভাবা যেত তখন?
মাশরাফি : অবশ্যই ভাবা যেত। ১ রানে ম্যাচ হারলে অমন ছোটখাটো অনেক জিনিস মনে হয়। মনে হয়, ইস্্, যদি ডাইভ দিয়ে ফিল্ডিং করে এক রান ঠেকাতে পারতাম। কিংবা শটটি একটু ওদিক-ওদিক দিয়ে মারলে তো চার হয়ে যেত। আসলে মুশফিক দুটো চার মারার পর সবাই ভেবেছি জয় নিশ্চিত। কিন্তু আগে তো ওদের সমান স্কোর করতে হবে! তারপর জয়। শেষ তিন বলে অন্তত ১ রান তো আমরা করতে পারতাম। তাহলে কী হতো? সুপার ওভার। সেখানে আমাদের মুস্তাফিজ রয়েছে। সুপার ওভার ব্যাটিংয়ে আমরা ৮-৯ রান নিতে পারলেও সুযোগ ছিল। সেখানে জয়-হার পরের ব্যাপার। কিন্তু এখন ১ রানে হেরে যে কষ্ট পাচ্ছি, তা তো পেতাম না।
মাশরাফি : টি-টোয়েন্টি দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে ২৪০ বলের খেলা তো! ভারতের বিপক্ষে সেই ২৪০ বলের মধ্যে আমরা ২৩৭ বলে জিতেছি; ভারত জিতেছে মাত্র তিন বলে। ওই যে ৩ বলে হারলাম, তাতেই ম্যাচটি হেরে যাই। শেষ ৩ বলে আমরা ৩ উইকেট হারালাম, একটা রানও নিতে পারলাম না—এটি বিশ্বাস করার মতো কথা!
প্রশ্ন : তাসকিন আহমেদ বিতর্কের কারণে এ ম্যাচ জিতলে পারলে সেটি নিশ্চয়ই অন্য রকম মাত্রা পেত?
মাশরাফি : আমি আর সেদিকে যাব না। তবে সবাই তো জানে, দল খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিল। মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় চাপে ছিলাম আমরা। কিন্তু অমন অবস্থায়ও এভাবে পারফর্ম করা সহজ ব্যাপার নয়। শুধু ওই শেষ তিন বল...
প্রশ্ন : ভারতের মাঠে ওদের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করার কথা বলছিলেন...
মাশরাফি : আমরা তো বেশির ভাগ সময় খেলি নিজেদের দর্শকদের সামনে। সেটি অনেক সোজা। তুলনায় ভারতের মাটিতে ভারতের ৪০-৪৫ হাজার দর্শকের সামনে খেলা খুব কঠিন। সেখানে আমাদের ছেলেরা নার্ভাস হয়নি। গ্যালারিতে ওদের পক্ষে স্লোগান উঠেছে। কিন্তু আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়ে গেছি। এটি অবশ্যই বড় প্রাপ্তি।
প্রশ্ন : এমন এক হারের ধাক্কা সামলে দলকে পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করা কত কঠিন?
মাশরাফি : কঠিন তো অবশ্যই। কিন্তু এটিই খেলার নিয়ম। জিতুন বা হারুন, পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হয়। আমরা এমন একটা গ্রুপে পড়েছি, সবাই এসেছে চ্যাম্পিয়ন হতে। তুলনামূলক দুর্বল হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। ওরা ভারত-অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সবাইকে হারিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠে আছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, কত কঠিন গ্রুপ আমাদের! এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে চাই আমরা।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/03/25/339988#sthash.YWN9MuzZ.dpuf