আশিষ নেহরা:
এটা নির্ভর করে আপনি কোথায় খেলছেন তার ওপর। আমরা প্রথম ম্যাচ খেলেছি
নাগপুরে। কলকাতায় পাকিস্তান ম্যাচের উইকেট অনেক ধীরগতির ছিল। আসলে বলতে
চাইছি, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে। আবার ওয়াংখেড়েতে
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো পিচ হলে খেলার ধরন কিন্তু বদলে যাবে।
সবকিছু তাই আপনি কোথায় খেলছেন, কোন পরিস্থিতিতে বল করছেন, কাকে বল
করছেন—এসব কিছুর ওপর নির্ভর করে।
*দলের মানসিক অবস্থা কেমন?
নেহরা: খুবই ভালো। আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে। এই ফরম্যাটে প্রতিটি ম্যাচই আসলে নকআউট। এক গ্রুপ থেকে দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে। এমনও হতে পারে, চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেও আপনি বাদ পড়ে গেলেন। তাই শিরোপা উৎসব না করা পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরার। ভুল করার বেশি সুযোগ নেই। দু-তিন মাস ধরে যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি, তাতে দলের সবাই মানসিকভাবে চাঙা।
*বাংলাদেশ দল নিয়ে কী ভাবছেন?
নেহরা: সবাই জানে বাংলাদেশ বেশ ভালো খেলছে। ওরা যেভাবে এগোচ্ছে, এটা আসলে বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ভালো। এশিয়া কাপে আমাদের সঙ্গে ফাইনাল খেলেছিল ওরা। সেখানে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়েছে। তা ছাড়া এই সংস্করণের ক্রিকেটে কোনো দলকেই হালকাভাবে নেওয়া যায় না। ২-৩-৪ বছর ধরে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করছে, এককথায় অসাধারণ। বাংলাদেশকে হারাতে হলে আমাদের সামর্থ্যের পুরোটা মাঠে দেখাতে হবে।
*তাসকিন ও সানির নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ দলে কেমন প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন?
নেহরা: ২০ ওভারের ক্রিকেটে যেকোনো দলই যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। এক-দুজন বোলার এখানে হয়তো খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। অবশ্যই তাসকিন আহমেদ ওদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন বোলার ছিল। কিন্তু একই সময়ে মুস্তাফিজুর রহমান ফিরে এসেছে। সাইড স্ট্রেইন থাকায় মাঝে ২-৩টি ম্যাচে ও খেলতে পারেনি। আল আমিন আছে। সব মিলিয়ে বোলিংয়ে গভীরতা অনেক। সাকিব আল হাসানও বেশ ভালো একজন অলরাউন্ডার। আমি মনে করি না এক-দুজন খেলোয়াড় না থাকায় ওদের দল দুর্বল হয়ে পড়েছে।
*অন্য বাঁহাতি পেসারদের তুলনায় মুস্তাফিজুরের বিশেষত্ব কী?
নেহরা: ও বেশ ভালো ফর্মে আছে, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে। কী দুর্দান্ত স্লোয়ারই না করে! প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লোয়ার বল করার ক্ষমতা ওর। বোলিং অ্যাকশনও বেশ ভালো। মুস্তাফিজের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল, বিশেষ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, আইপিএলে ও আমার দলে। আমিও ওর কাছ থেকে অনেক সাহায্য পাব।
*বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন?
নেহরা: যেমন ফরম্যাট, তাতে টানা দুটি ম্যাচে হার অনেক কঠিন করে ফেলেছে বিষয়টিকে। সেমিফাইনালে উঠতে বাকি দুটি ম্যাচেই জিততে হবে ওদের। অন্য সমীকরণগুলোও মিলতে হবে। কিন্তু আগে যা বলছিলাম, শুধু আমি না, দলের কেউই বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছে না। সবাই দেখেছে গত ২-৩ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কেমন উন্নতি করেছে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচেরই অপেক্ষা করছি।
*দলের মানসিক অবস্থা কেমন?
নেহরা: খুবই ভালো। আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে। এই ফরম্যাটে প্রতিটি ম্যাচই আসলে নকআউট। এক গ্রুপ থেকে দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে। এমনও হতে পারে, চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেও আপনি বাদ পড়ে গেলেন। তাই শিরোপা উৎসব না করা পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরার। ভুল করার বেশি সুযোগ নেই। দু-তিন মাস ধরে যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি, তাতে দলের সবাই মানসিকভাবে চাঙা।
*বাংলাদেশ দল নিয়ে কী ভাবছেন?
নেহরা: সবাই জানে বাংলাদেশ বেশ ভালো খেলছে। ওরা যেভাবে এগোচ্ছে, এটা আসলে বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ভালো। এশিয়া কাপে আমাদের সঙ্গে ফাইনাল খেলেছিল ওরা। সেখানে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়েছে। তা ছাড়া এই সংস্করণের ক্রিকেটে কোনো দলকেই হালকাভাবে নেওয়া যায় না। ২-৩-৪ বছর ধরে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করছে, এককথায় অসাধারণ। বাংলাদেশকে হারাতে হলে আমাদের সামর্থ্যের পুরোটা মাঠে দেখাতে হবে।
*তাসকিন ও সানির নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ দলে কেমন প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন?
নেহরা: ২০ ওভারের ক্রিকেটে যেকোনো দলই যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। এক-দুজন বোলার এখানে হয়তো খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। অবশ্যই তাসকিন আহমেদ ওদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন বোলার ছিল। কিন্তু একই সময়ে মুস্তাফিজুর রহমান ফিরে এসেছে। সাইড স্ট্রেইন থাকায় মাঝে ২-৩টি ম্যাচে ও খেলতে পারেনি। আল আমিন আছে। সব মিলিয়ে বোলিংয়ে গভীরতা অনেক। সাকিব আল হাসানও বেশ ভালো একজন অলরাউন্ডার। আমি মনে করি না এক-দুজন খেলোয়াড় না থাকায় ওদের দল দুর্বল হয়ে পড়েছে।
*অন্য বাঁহাতি পেসারদের তুলনায় মুস্তাফিজুরের বিশেষত্ব কী?
নেহরা: ও বেশ ভালো ফর্মে আছে, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে। কী দুর্দান্ত স্লোয়ারই না করে! প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লোয়ার বল করার ক্ষমতা ওর। বোলিং অ্যাকশনও বেশ ভালো। মুস্তাফিজের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল, বিশেষ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, আইপিএলে ও আমার দলে। আমিও ওর কাছ থেকে অনেক সাহায্য পাব।
*বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন?
নেহরা: যেমন ফরম্যাট, তাতে টানা দুটি ম্যাচে হার অনেক কঠিন করে ফেলেছে বিষয়টিকে। সেমিফাইনালে উঠতে বাকি দুটি ম্যাচেই জিততে হবে ওদের। অন্য সমীকরণগুলোও মিলতে হবে। কিন্তু আগে যা বলছিলাম, শুধু আমি না, দলের কেউই বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছে না। সবাই দেখেছে গত ২-৩ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কেমন উন্নতি করেছে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচেরই অপেক্ষা করছি।